নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে নির্বাচনমুখী সংস্কারকেই প্রধানতম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার মতে— নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে কড়াইল বস্তিতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় লাগা উচিত নয়।
তিনি জানান, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শুধু একটি ধারণা দিয়েছেন, কিন্তু জনগণ আশা করছিল যে, নির্বাচন সম্পর্কিত সময় নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হবে, যা পূর্ণ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। আর তার জন্য কিছু আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং মাঠ পর্যায়ের সংস্কার দরকার। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এসব সংস্কারে চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণ নির্বাচনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে। এটি সরকারের জন্য একটি জরুরি দায়িত্ব।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। তবে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য যেসব আইনি ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলো শেষ হতে তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
এদিন, জেডআরএফ আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেবা প্রদান করা হয়। কড়াইল বস্তি ও আশপাশের এলাকার শত শত রোগী ক্যাম্প থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন, এবং বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়।
মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জেডআরএফ-এর ডা. এ এস হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ডা. হারুন-আল রশিদ, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ডা. মো. মেহেদী হাসান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা. সাজিদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, ডা. গালিব হাসান, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৬:০০ | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain